বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতন করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার এক আশা কর্মী, দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে আশা কর্মী ইউনিয়ন।


নিজস্ব সংবাদদাতা,রাজগঞ্জ:
বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতন করতে  গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক আশা কর্মী। সোমবার বিকেলে   রাজগঞ্জের কালিতলা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আশা কর্মী মালবিকা রায় রাজগঞ্জের গাডরা এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে বলে জানতে পান, নাবালিকার পরিবারের কে বাল্যবিবাহ নিয়ে সচেতন করেন, এরপরেই নাবালিকার পরিবারের লোকজন নিয়ে এসে সেই আশা কর্মীর বাড়িতে এসে শারীরিক হেনস্থা করেন গালিগালাজ দেন,বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

ভুক্তভোগী আশা কর্মী জানান, “আমি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে বাল্যবিবাহ ঠেকাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এর পরিবর্তে আমার বাড়িতে গিয়ে অপমান ও হুমকির শিকার হয়েছি। আমাকে গালিগালাজ করার পাশাপাশি ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে।"

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আশা কর্মী ইউনিয়ন। বুধবার দুপুরে  রাজগঞ্জ সমষ্টি ইউনিয়ন আধিকারিকের অফিসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ডেপুটেশন দেন। এরপর রাজগঞ্জ থানায় গিয়েও ডেপুটেশন দেন যাতে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পান অতি দ্রুত, অন্যদিকে রাজগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যে দুইজন প্রধান অপরাধী কে গ্রেফতার করেছে রাজগঞ্জ থানা।

রাজগঞ্জ আশা কর্মী ইউনিয়নের সদস্য চন্দনা রায় বলেন, "মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদের নিরাপত্তা নেই। যারা দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের হেনস্তা করেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।"


উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আশার ভূমিকা বরাবরই প্রশংসিত হলেও, মাঠপর্যায়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট মহল দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন