চীনের জাহাজ গুলিকে শেষ করতে এই মিসাইলের পরীক্ষা করল ভারত।


ভারত এই সপ্তাহে একটি নতুন প্রজন্মের অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে, যার সাথে থাকবে অত্যন্ত উচ্চমাত্রার মানেভারেবল (চলনযোগ্য) ওয়ারহেড। এই মিসাইলটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে শত্রু জাহাজ যেমন এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার এবং মিসাইল ক্রুজারের মতো উচ্চ মূল্যের লক্ষবস্তুতে আঘাত করার জন্য। এটি মূলত চীনের নৌবাহিনীর জাহাজকে লক্ষ্য করেই তৈরি।

এই মিসাইল সিস্টেমটির শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য হল এর লক্ষ্য সনাক্তকরণ এবং ট্র্যাকিংয়ের জন্য একটি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক। স্যাটেলাইট চেইনটি মিসাইলকে শত্রু জাহাজের গতিবিধি নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে এবং লক্ষ্যস্থলে পৌঁছানোর সময় অতি উচ্চমানের লক্ষ্যবস্তু লক করতে পারবে। স্যাটেলাইটগুলো এই মিসাইলের ডেটা প্রদান করতে সমুদ্র অঞ্চলে শত্রুর অবস্থান দ্রুত নির্ধারণে সহায়তা করবে। এর ফলে, প্রয়োজনমতো নির্দিষ্ট উচ্চ-দ্রুত গতির লক্ষ্যকে ধ্বংস করা যাবে।

এই মিসাইলটির গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এর গতি এবং মানেভারেবিলিটি। এটি শত্রু রাডারের নজর এড়াতে উচ্চতর পরিবর্তনশীল গতি ও গতিপথ গ্রহণ করতে সক্ষম, যা চীনের রাডার প্রতিরক্ষা ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমের মোকাবিলা করতে সহায়ক। মিসাইলটির পরীক্ষা সফল হলে ভারতীয় নৌবাহিনীর আঞ্চলিক ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বিশেষ করে চীন সাগর এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের সামরিক প্রভাব প্রতিহত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

এই উন্নয়ন সামরিক ক্ষেত্রে ভারতের আস্থাকে আরও দৃঢ় করবে এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে, বিশেষত চীনের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন