জগদীশচন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথের এই কাহিনী কি জানেন আপনি,জানতে ক্লিক করুন।


জগদীশচন্দ্র বসু ইংল্যান্ডে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে বিখ্যাত মার্কিন সাহিত্য পত্র হারপার্স ম্যাগাজিনে পাঠিয়ে ছিলেন।

প্রত্যাশা ছিল পত্রিকার পাতায় লেখাটি প্রকাশিত হবে। ভারত তথা বাঙালির দুই গর্ব রবীন্দ্রনাথ ও জগদীশচন্দ্র বসু পরস্পরের শুধু মাত্র গুণমুগ্ধ নয় তাদের মধ্যে গভীর সখ্য ছিল।

মার্কিন ম্যাগাজিনটি অবশ্য রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করল না, একই সঙ্গে জগদীশ বোস কে জানিয়ে দিল "ভারতীয় লেখক সম্পর্কে মার্কিন পাঠকদের কোনও আগ্ৰহ নেই"। এই অপমান জগদীশচন্দ্র ভুলতে পারেন নি, ঘটনার রেশ থেকে গিয়েছিল প্রতিবাদী বিজ্ঞানীর মননে। শুধু তাই নয় শেষ পর্যন্ত ওই পত্রিকাকে বিজ্ঞানীর কাছে ভুল স্বীকার করতে হয়।

বেশ কিছু বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য নোবেল পেলেন ১৯১৩ সালে। সারা বিশ্বের মানুষের প্রশংসা পেলেন কবি, সবাই রবীন্দ্রনাথ কে আরও বিশদে জানতে চায়। কেন পিছিয়ে থাকবে তাঁর লেখা প্রকাশে প্রত্যাখান করা মার্কিন পত্রিকা হারপার্স। তারা যোগাযোগ করলেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর সঙ্গে। বিজ্ঞানী কে অনুরোধ করে লিখলেন রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কিছু লিখে পাঠান।

জগদীশচন্দ্র পুরনো স্মৃতি ভুলে যাননি, তিনি হারপার্স ম্যাগাজিন কে লিখলেন - একদিন তারা রবীন্দ্রনাথ কে জানতে চায়নি, তাঁর অনুবাদ ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের অপমানকর চিঠিটাও তিনি সঙ্গে পাঠাচ্ছেন। আশা করেন হারপার্স সেই চিঠিটাও প্রকাশ করবে।

বলা বাহুল্য শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি জগদীশচন্দ্র হেসেছেন। রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির পর হারপার্স পত্রিকা জগদীশচন্দ্র বসুর কাছে তাদের ভুল স্বীকার করে শুধু তাই নয়, ১৩ বছর পরে পত্রিকায় জগদীশচন্দ্র বসু কে প্রত্যাখ্যানের অপমানকর চিঠিটাও ছাপতে বাধ্য হয়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন