অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আলদা রাষ্ট্র গঠন করতে আন্দোলন চাকমাদের,অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ।


আন্তর্জাতিক: অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পাহাড়ি জনপদ। হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা। বৃহস্পতিবার রাতে দীঘিনালায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলি চলে। এছাড়াও, দোকানপাটসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।


চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ফের জোরাল হচ্ছে জুম্মাল্যান্ডের দাবি। বিক্ষোভ বাড়ছে। রক্তও ঝড়ছে।এই আন্দোলনের সামনের সারিতে রয়েছেন চাকমা জনজাতির লোকজন। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বর্তমান উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশ এবং মায়ানমারের আরাকান নিয়ে ছিল চাকমা সাম্রাজ্য। সেই চাকমাদের একটা বড় অংশ এখন চট্টগ্রামে থাকেন। ভারতের ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামেও চাকমা জনজাতির আধিক্য দেখা যায়। এই চাকমাদের নেতৃত্বেই চলছে পৃথক জুম্মাল্যান্ডের আন্দোলন। সরাসরি বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আন্দোলন‌।

মাস দেড়েক ধরে এই বাংলাদেশিদের একাংশের নজর ভারতের সাত রাজ্যের দিকে। সেভেন সিস্টার্স দখলের হুংকার শোনা যায়। শিলিগুড়ি করিডর দখল করে উত্তর-পূর্বের ভারতকে দেশের মূল ভুখন্ড থেকে আলাদা করারও হুংকার দিতে থাকেন অনেকে। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনূসও দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দেন, তবে এখন নিজে বাংলাদেশ বেকায়দায় কারণ বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাংশ চাকমারা আলদা রাষ্ট্র গঠন করার জন্য জোরদার আন্দোলন করছে। আর এই আন্দোলনকে থামাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করছে বলে অভিযোগ করছে চাকমা সম্প্রদায়ের আন্দোলনকারীরা। আর বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল কে আলদা রাষ্ট্র করার আন্দোলন শুরু হওয়ায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বর্তমানে আর এর ফলে বাংলাদেশের নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবল চাপে। এখানে উল্লেখ্য হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার দিন দিন বাড়ছে, প্রায় দু কোটি সংখ্যালঘুর বাস বাংলাদেশে। প্রত্যেকদিন কোনো না কোনো অংশে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর উপাসনালয় জ্বালিয়ে দিচ্ছে। আর এর থেকে রেহাই পেতেই চাকমাদের এই আলদা রাষ্ট্র গঠন করার আন্দোলন চলছে বলে অনেকে মনে করছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন