হরিহর আশ্রমের জমি চিহ্নিতকরণ করতে এসে ফিরে গেলেন ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক।
রাজগঞ্জ:মনুয়াগজ হরিহর আশ্রমে ভুমি ও ভুমি রাজস্ব দপ্তরের নির্দেশে আধিকারিক হাজির হয়েছিল জমি চিহ্নিত করনের জন্য।কিন্তু দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে মিউটেশন এর জন্য জমি চিহ্নিতকরণ না করেই ফিরে গেল ভুমি রাজস্ব আধিকারিক, আর এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য রাজগঞ্জের মনুয়াগছ হরি হর আশ্রম এলাকায় । রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনুয়াগছ গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘা জমি রয়েছে হরিহর আশ্রমের । ২০১৫ সালে আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা হরিহরানন্দ মহারাজ স্বর্গ লাভ করার পর থেকে সেই কয়েকশো বিঘা জমি দাবি করছে বর্তমান হরিহর নিরাশ্রয় সেবা ট্রাস্ট, অন্য দিকে এই আশ্রম শংকর মঠ ও মিশনের এর একটি শাখা বলে দাবি করছে পরিতষানন্দ গিরি নামে এক মহারাজ যিনি শংকর মঠ ও মিশনের একজন ট্রাস্টি মেম্বার বলে দাবি করেন ।
হরিহর নিরস্রয় সেবা ট্রাস্টের সম্পাদক দেবব্রত মজুমদার বলেন রাজগঞ্জ বি এল আর ও অফিস থেকে আমাদের নোটিশ দিলে আমরা অফিসে গিয়ে উপযুক্ত সকল কাগজ পত্র দিয়ে জানিয়ে আসি কোর্টে এই নিয়ে বিভিন্ন কেস চলছে যতখন রায় না হচ্ছে ততক্ষণ এই জমিতে কোন কিছু করা যাবে না,তারপরও কিসের ভিত্তিতে এই জমি চিহ্নিতকরণ জানিনা।জমি চিহ্নিতকরণে কোর্টের অর্ডার না থাকায় আমরা জমি মাপতে দিইনি।হরিহরানন্দ জি মহারাজ দেহত্যাগের পর থেকেই এই আশ্রমের দেখাশোনা করছি আমরাই।লোকাল কমিটির সকল সদস্যদের পাশে বসে তিনি আরো জানান এক জমির দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে একটা ফলস ডিট নিয়ে এসে আশ্রমের জমি হাতানোর চেষ্টা করছে ঐ পক্ষ।
অন্যদিকে শংকর মঠ ও মিশনের প্রতিনিধি পরিতোষানন্দ গিরি বলেন
হরিহর আশ্রম শংকর মঠ ও মিশননের একটি শাখা, দীর্ঘদিন ধরেই আমি এখানে ছিলাম,এখন যে ট্রাস্ট এখানে রয়েছে তা ভুয়ো,এটা আমরা প্রমাণ করে দিব।
মিউটেশনের জন্য বিএলআরও অফিসে এপ্লাই করলে আজ আড়াই অফিসার আসে জমি চিহ্নিতকরণের জন্য কিন্তু অপরপক্ষ বাধা দেওয়ায় ফিরে যায় ভুমি আধিকারিক।
জমি চিহ্নিতকরণে আসা ভূমি আধিকারিক কে জিজ্ঞাস করলে তিনি কোন কিছু বলতে চাননি।
অন্যদিকে রাজগঞ্জ ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুখেন রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে কিছু বলতে চাননি।