কারখানায় লুটপাট করতে গিয়ে কারখানায় বিধংসী আগুনে প্রাণ হারালেন ১৭৬ জন ।176 people lost their lives in a devastating fire while looting the factory.


বাংলাদেশ আছে সেই বাংলাদেশেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হওয়ার পরেও বাংলাদেশে এখনো যে আইন প্রতিষ্ঠিত হয়নি এই ঘটনাই তার প্রমাণ করে। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে প্রাণ হারালেন ১৭৬ জন বাংলাদেশী, এমনি খবর সে দেশের বেশিরভাগ সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ হয়েছে।কী ভাবে আগুন লাগল এই ভবনে? 'প্রথম আলো' সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ কয়েক জন দুষ্কৃতী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাজি টায়ার্সের বাড়িতে ঢোকে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ওই কারখানার মধ্যে লুটপাট চালানো। লুটপাট চালাতে গিয়ে দুই দলে বিভক্ত হয়ে নিজেরাই কারখানার ভিতরে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ,সময়ই দুষ্কৃতীরা বাড়ির নীচের তলায় সিঁড়ির মুখে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। কারখানার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ছড়ায়।

রবিবার রাত থেকে আগুন জ্বলতে থাকে ওই বহুতলে। সোমবার সন্ধ্যায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভেনি। মঙ্গলবার সকালে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। আচমকা আগুন লাগায় ওই বাড়ির মধ্যে অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এক অসমর্থিত সূত্র 'প্রথম আলো'কে জানিয়েছে, আগুন লাগার ঘটনায় ১৭৫ জনের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ। বাড়ির সামনে ভিড় করছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিজন। সকলের চোখে মুখেই আতঙ্কের ছাপ। ফায়ার সার্ভিসের তরফে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলেই খবর।

আর এই ঘটনায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা যে এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

বাংলাদেশের মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে নারায়ণগঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজি ছিলেন এই টায়ার কারখানার মালিক। রবিবার ভোরে ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাসিনার মন্ত্রিসভায় বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী ছিলেন গোলাম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন