আগেভাগে দেখে ফেলায় গাজোলডোবা সংলগ্ন তিন চারটি গ্রাম পেল রক্ষা!!Three or four villages adjacent to Gajoldoba were saved because of early detection!!
নিজস্ব সংবাদদাতা,রাজগঞ্জ:পাহাড় সমতলে অনবরত বৃষ্টির ফলে গাজালডোবা সংলগ্ন ১৮ নম্বর তিস্তার বাঁধে ভাঙ্গন,শেচ দপ্তরের তড়িঘড়ি কাজের ফলেই বেঁচে গেল বেশ কয়েকটি গ্রাম।
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেল প্রায় বেশ কয়েকটি গ্রাম।বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তারদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজলডোবা সংলগ্ন ১৮ নং মিলন পল্লী এলাকায়। গত কয়েকদিন ধরেই পাহাড় ও সমতলে অনবরত বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীর জল বেড়ে যাওয়ার কারণে ১৮ নং মিলন পল্লীর এলাকার তিস্তা নদীর মূল বাঁধ ভাঙ্গতে শুরু করে। গ্রামবাসীরা তিস্তা নদীর জলের পরিস্থিতি লক্ষ করতে গেলে, বাঁধের ভাঙ্গন চোখে পড়ে। আর যা দেখে আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যায় গ্রামবাসীরা। পরবর্তীতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তড়িঘড়ি সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে মেরামতের কাজ শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ দেখতে পান তিস্তা নদীর বাঁধের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আর এতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় গ্রামের মানুষেরা। কখন বাঁধ ভেঙে যায় এই ভয়ে গোটা গ্রামের মানুষ ভয়ে ভয়ে বাঁধের উপরেই রাত কাটান। পরবর্তীতে ঘটনার খবর দেওয়া হয় সেচ দপ্তরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন, বাঁধের অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ বৃষ্টির মধ্যেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেন।
অন্যদিকে এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম রায়, রবীন মণ্ডল, জয়দ্বীপ মৈত্র বলেন এই পরিস্থিতিতে গোটা রাত আতঙ্কের মধ্যে কাটিয়েছে গ্রামের মানুষজন। এই বাঁধ ভেঙে গেলে মিলনপল্লী, বারোপটিয়া, বোদাগঞ্জ সহ প্রায় চার-পাঁচটি এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। শুক্রবারও বাঁধের কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে। এই বাঁধের পূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন কারণ গত বছরের হরপা বানের বন্যার কারণে বাঁধের অনেক অংশে ভাঙ্গন লক্ষ করা গিয়েছে। যদি এই বাঁধ তড়িঘড়ি পূর্ণ সংস্কার না করা হয় এবং তিস্তা নদীর পরিস্থিতি যদি এরকম ভয়াবহ থাকে তাহলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।