কেন তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে কৃষি কাজে মন দেন জানুন সবটাই!Why he quit his job to focus on agriculture know everything!
চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজ করছেন তিনি ।
চীনের একজন উচ্চশিক্ষিত তরুণ, শহরের চাকরি ছেড়ে নিজের হোমটাউনে ফিরে বেছে নিলেন কৃষকের পেশা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি এখন দারুণ সফল। কিভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাফল্য পেলেন এই তরুণ কৃষক, চলুন শোনা যাক সেই গল্প।
ফসলের ক্ষেত। এখানে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে বাড়ছে উৎপাদন। ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন তরুণ কৃষক। নাম তার থাং সিনছেন।
থাং সিনছেন বলেন, ‘শুরুতে আমি শুধু চেয়েছিলাম নতুন ব্যক্তিগত মূল্য ও নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করতে। সেইসময় আমি স্থানীয় কিউয়ি শিল্পকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ফিরে আসি। বেশ গভীরভাবে গবেষণা করে বুঝতে পারি যে, সমস্যাগুলো শুধু যে পণ্য বিক্রির সময় হয় তা নয়, চাষের কাজ চলার সময়ও নানা রকম সমস্যা হয়। এখানে যে ফলগুলো উৎপন্ন করা হতো সেগুলো আকার আকৃতিতে স্টান্ডার্ড এর চেয়ে ছোট।’
দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতু সিটির ছিয়ংলাই কাউন্টির বাসিন্দা থাং একজন উচ্চশিক্ষিত তরুণ। দুই বছর আগে ২৮ বছর বয়সী থাং সিনছেন ছেংতু সিটির একটি ইন্টারনেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি সেই চাকরি ছেড়ে তার হোমটাউন ছিয়ংলাই কাউন্টিতে চলে আসেন। তিনি ১৩ হেকটর এলাকার একটি ফলের বাগান এবং ৬৬ হেকটর জমিতে ধানক্ষেত গড়ে তোলেন।
তিনি তার খামার সাজিয়ে তোলেন ড্রোন, সেন্সর এবং অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি দিয়ে। তিনি তার উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করেন। তিনি চার হেকটর জমিতে কিউয়ির পরিবর্তে কমলার চাষ শুরু করেন। তিনি ৯.৩ হেকটর জমিতে পুরনোর বদলে নতুনভাবে কিউয়ি গাছ লাগান। মাটির গুণগতমান উন্নত করেন। গতানুগতিক চাষপদ্ধতির সমস্যাগুলো মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন করেন।
থাং সিনছেন আরও বলেন, আমরা যখন নতুনভাবে ফলের বাগান সাজাই তখন যন্ত্রপাতি , স্বয়ংক্রীয় যান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু জায়গা ছেড়ে রাখি।’
তিনি উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে উৎপাদিত ফল বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি এআই সরটার প্রয়োগ করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানসম্পন্ন ফল বেছে নেয়া হয়। তিনি ইন্টারনেটে শর্ট ভিডিও তৈরি করে প্রেচার করতে থাকেন। তার শর্ট ভিডিওগুলো লাখ লাখ ভিউ হয়। গত বছর ৫০ হাজার কিলোগ্রাম কমলা এবং ৫০ হাজার কিলোগ্রাম কিউয়ি বিক্রি করেন।
থাং সিনছেন বলেন, ‘ আমাদের লক্ষ্য হলো উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনে সমস্যা দূর করা। বাজারের রুচির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, বিশাল পরিমাণে উৎপাদন এবং হাজার হাজার কৃষক যেন গ্রহণ করে সেটি দেখতে হয়।’
তিনি বেশ কিছু নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন এবং ফল উৎপাদনে সাফল্যও পেয়েছেন। কৃষিখামারে তার এই সাফল্য চীনের বর্তমান গ্রাম পুনরুজ্জীবনের ধারায় ইতিবাচক অবদান রাখছে।