ন্যাশনাল কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সোনা জিতে এলেন রাজগঞ্জের দিন মজুরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা!Rajganj's day laborer's daughter Priyanka won gold from the National Kick Boxing Championship!
জলপাইগুড়ি:সোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের দিনমজুরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রায়। পুনেতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ 2024 এ সোনা জয় করলেন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের প্রিয়ঙ্কা রায়। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের পানিকউরী গ্রাম পঞ্চায়েতের চান্দারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নজেন রায় পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রায় নবম শ্রেণীর ছাত্রী, ছোটবেলা থেকে কিক বক্সিং খেলায় পারদর্শী। বেস কয়েকবার ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল খেলতে বাইরে গিয়েছিলেন। গোল্ড, সিলভার, ব্রোঞ্জ পেয়েছিল। এবার পুনেতে ২১ থেকে ২৬ তারিখ ন্যাশনাল কিকবক্সিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রতিযোগিতায় জলপাইগুড়ি জেলা থেকে অংশগ্রহণ করেছিল একমাত্র প্রিয়ংকা রায়। কিক বক্সিংয়ে গোল্ড পেয়েছে। সোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন প্রিয়াঙ্কা বৃহস্পতিবার সকালে। এবার লক্ষ্য ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। স্বপ্ন রয়েছে অলিম্পিকে যাওয়ার। কিন্তু বাধা আর্থিক সমস্যা। এর কারন বাবা সামান্য রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালায়। খেলা সরঞ্জাম কিনে দিতে হিমশিম খেতে হয়। এই বিষয়ে প্রিয়ঙ্কা রায় জানায় পুনেতে ন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গোল্ড পেয়েছি। আমার এরপর লক্ষ্য ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতা ও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা। কিন্তু সেই সব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন। সরকারিভাবে কিছু সাহায্য পেলে অনেক সুবিধা হত। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা রায়ের বাবা নজেন রায় জানায় খুব ভালো লাগছে মেয়েদের সাফল্যে। ন্যাশনাল কিক বক্সিং প্রতিযোগিতায় গোল্ড পেয়েছে মেয়ে। এর আগেও বেশ কয়েকটি খেলায় ও গোল্ড মেডেল জিতে।ভবিষ্যতে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে চায়। সরকারিভাবে কিছু সাহায্য পেলে ওর স্বপ্ন পূরণ হবে। সামান্য রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতে হয় আমাকে। প্রিয়াঙ্কার বাবা আরো জানান প্রিয়াংকার কোচ প্রসন্ন রায় ও ওয়েস্ট বেঙ্গল স্পোর্টস কিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন এর জেনারেল সেক্রেটারি বিশ্বনাথ রায় অনেক সহযোগিতা করেন বলেই প্রিয়াংকা আজ এতদূর যেতে পেরেছে।
কারণ রাজমিস্ত্রির কাজ করে চারজনের সংসার চালানোর পর
বক্সিং এর সরঞ্জাম কিনে দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা আর। সেই কারণেই সরকারি ভাবে সাহায্য পেলে প্রিয়ঙ্কা অলিম্পিকে বা আন্তর্জাতিক বর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করতে পারে।।