সিকিম সরকার বন্ধ করে দিল এইসব টুরিস্ট স্পট, মন খারাপের ভ্রমণপিপাসুদের।
সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? ছাঙ্গু, নাথু লা, বাবা মন্দিরের পাশাপাশি বেড়ানোর পরিকল্পনা গুরুদংমার লেকেও? পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ শোনাল সিকিম সরকার। ঝুঁকির কারণে এই জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটে কোনও পর্যটককে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। খারাপ আবহাওয়া এবং বারবার ধসের কারণে গুরুদংমারগামী রাস্তার অবস্থা বেহাল। সে কারণেই পর্যটকদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন।
ভ্রমণপিপাসুদের বাকেট লিস্টে সিকিমের গুরুদংমার লেক থাকবে না তা আবার হয় না কি! পাহাড়ের কোলে বরফে মোড়া এই ট্যুরিস্ট স্পটের আকর্ষণে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। কিন্তু, চলতি মরশুমে সিকিমে বেড়াতে গিয়ে মনখারাপ পর্যটকদের। বেড়ানো যাচ্ছে না গুরুদংমার লেক। জানেন কেন এই নিষেধাজ্ঞা?
জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে পর্যটকদের এই মুহূর্তে গুরুদংমার লেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিকিম প্রশাসন। গত অক্টোবর মাসে হিমবাহ ফেটে ভয়াবহ ধস এবং মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নেমেছিল এই লেকে। সিকিমের সেই দুর্যোগের জেরে দীর্ঘদিন পর্যটন ব্যাহত হয়েছে। রাস্তা খারাপ থাকায় সিকিমে পৌঁছতে পর্যটকদের ঘুরপথে ঝক্কি পোয়াতে হয়েছে। ফলে চলতি মরশুমে ঝড়বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাই পর্যটকদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন।
কেবলমাত্র গুরুদংমারই নয়, মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গরমের ছুটি কাটাকে বহু সংখ্যক পর্যটক ভিড় জমান লাচেন এবং লাচুংয়েও। তবে লাচুংয়ে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও কার্যত ফাঁকা লাচেন। সেখানকার জনপ্রিয় গুরুদংমার লেকে কোনও পর্যটককে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
একদিকে যখন বছরের শুরুর দিকেই চার লাখ পর্যটক সিকিমের নানা পাহাড়ি এলাকায় বেড়াচ্ছেন, তখন গুরুদংমার লেক বন্ধ থাকায় খানিক মনমরা ভ্রমণপিপাসুরা। মঙ্গনের জেলাশাসক হেম কুমার ছেত্রী ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, 'ঝুঁকি থাকায় আমরা লাচেনে কোনও পর্যটককে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছি না। কেবলমাত্র স্থানীয় লোকজনকেই সেদিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও আমাদের পক্ষ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে গুরুদংমার পর্যন্ত রাস্তা ঠিক রাখা যায়। তবে যেহেতু লাগাতার ধসের জেরে এই রাস্তা ভঙুর হয়ে গিয়েছে তাই ঝুঁকি এড়াতে আপাতত সেদিকে কাউকে না পাঠানোই শ্রেয়।'