মুদিখানা দোকান চালিয়ে গৃহ শিক্ষক ছাড়ায় স্কুল টপার হয়ে তাক লাগল রাজগঞ্জের তিশা ভৌমিক।
ছোট্ট মুদিখানা দোকান চালিয়ে টিউশন ছাড়াই স্কুল টপার হলেন তিশা ভৌমিক ।
রাজগঞ্জের বন্ধু নগর ডি এন হাই স্কুলের ছাত্রী তৃষা ভৌমিক এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৪৩৭ নম্বর পেয়ে স্কুল টপার হয়েছে। রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরঘাটার কমলচন্দ্র ভৌমিকের মেয়ে তৃষা। তিশার বাবা বাড়িতে ছোট্ট মুদিখানার দোকান করেই সংসার চালান। তিশারা তিন বোন , তিন বোন ও বাবা মা মিলে পাঁচজনের সদস্য পরিবারে। বাবার অবর্তমানে তিশা নিজে বাড়ির ছোট্ট মুদিখানা দোকান চালান।
দোকানে বসেই একদিকে পড়াশোনা করেন এবং দোকানে আসা কাস্টমারদের জিনিসপত্র দেন। তিশা জানান কোন গৃহ শিক্ষকের কাছেই সে পড়েনি আর্থিক অসঙ্গতির কারণে। ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়তে চায় তিশা কিন্তু পড়ার অন্তরায় আর্থিক অসংগতি। সে আরো জানায় ভবিষ্যতে প্রফেসর হতে চায় । এর জন্য হয়তো আগামীতে পড়াশোনা করতে হবে যার খরচ চালাতে পারবে কিনা তার বাবা সন্দেহ রয়েছে তিশার। তাই সে জানায় কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থার সহযোগিতা যদি পান তাহলে আগামীতে পড়াশুনা সে চালিয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে তিশার এই নজর কারা সাফল্যের জন্য মাঝিয়ালী তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজ সংবর্ধনা জানাতে যান এলাকার সমাজ সেবী ও মাঝিয়ালী তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হেমন্ত রায়, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ দুধ কুমার দাস, এলাকার সমাজসেবী সম্পদ রায়। সম্বর্ধনার পর হেমন্ত রায় জানান বাড়িতে ছোট্ট দোকান চালিয়ে বিনা টিউশনে এত ভাল রেজাল্ট করে স্কুল টপার হয়েছে তিশা, তাই আমরা সম্বর্ধনা দিতে এসেছি, আগামীতে পড়াশোনার জন্য যা দরকার তা আমরা সহযোগিতা করব।