এক বীরাঙ্গনা মায়ের বাস্তব কাহিনী!!
এক বীরাঙ্গনা মায়ের জীবনসংগ্রামের কাহিনী।
সুপ্রীতি সিং হুগলী জেলার রাজহাট এর বাসিন্দা। অঙ্ক মাস্টার্স, খুব দারিদ্রতার মধ্যে পড়াশোনা করেছেন। বাবা রিক্সা চালাতেন। পরিবারে রয়েছেন শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, স্বামী, একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।
পরিবারে দু'মুঠো অন্ন জোগাড় করতে দিন রাত পরিশ্রম করে অর্থ রোজগার করতে হয়। স্বামী স্বপন সিং গাড়ি চালান একটি বেসরকারি সংস্থায়। একার আয়ে সংসার চালানো দায়। তাই স্বামীর পাশাপাশি বিকল্প উপার্জনের খোঁজে এই পেশায় আসা এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রীতি।সুপ্রীতি সিং Flipkart এ যুক্ত হয়ে বাড়ি বাড়ি অর্ডার করা জিনিস পৌছে দেন।
দিল্লি রোডের ধারে একটি ভাতের হোটেল ছিল সুপ্রীতির। অতিমারী সবটাই শেষ করে দিয়েছে। এরপর বাড়িতে মুদি দোকান খুলে কিছু আয়ের চেষ্টা। কিন্তু সেটিও সেভাবে না চলায়, বেছে নিতে হয়েছে ডেলিভারি গার্লের কাজকেই।
আজকের দিনে সংসারের হাল ধরতে পুরুষদের সঙ্গে সমান তালে সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে চলেছেন মহিলারাও। ৪০ কেজির ব্যাগ পিঠে মোটর বাইকে চড়ে ডেলিভারি গার্ল সুপ্রীতি সিং সমাজের কাছে সত্যি এক দৃষ্টান্ত।
এছাড়াও নিজের পরিবারের খরচ চালিয়ে যেটুকু টাকা হাতে পান, সেইটুকু টাকা দিয়ে এই দিদি আশেপাশের গরীব অনাথ বাচ্চাদের জামা কাপড় কিনে দিয়েছেন। সারাদিন কাজ সেরে পরিশ্রান্ত শরীরে ফিরে রাতে রান্না করার পর ওই অঞ্চলের গরীব বাচ্চাদের বিনামূল্যে পড়ান। এইরকম বীরাঙ্গনা মায়ের গল্প এই সমাজের বুকে উজ্জ্বল হয়ে উঠুক।
আপনি ভালো থাকবেন দিদি।
আপনাকে অনেক অনেক কুর্নিশ জানাই।