করোতোয়ায় অস্থায়ী ব্রিজ তৈরি করায় ভোগান্তি কমলো কয়েক হাজার লোকাবাসীর
দেড় বছর পর করোতোয়ায় তৈরি হলো অস্থায়ী ব্রিজ, অবশেষে ভোগান্তি কমলো কয়েক হাজার এলাকাবাসীর।
অবশেষে ভোগান্তি কমলো পর্যটক এবং মান্তারদারি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলগুড়ি সহ গাজলডোবার বাসিন্দাদের।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল এই করতোয়া সেতু। সেই সময় সেতু তে ভাঙ্গন দেখা দেয়। সুরক্ষার কথা ভেবে সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এর ফলেই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বিভিন্ন এলাকার মানুষের। শিমুলগুড়ি এলাকার বাসিন্দাদের কেউ অসুস্থ হলে শিলিগুড়ি যেতে পারমুন্ডা মোড় হয়ে আমবাড়ি দিয়ে সাহুডাঙ্গি ক্যানেল রোড হয়ে যেতে হতো । শিলিগুড়ি থেকে গজলডোবা পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গেলে প্রায় ১০ কিলোমিটারের বেশি ঘুর পথে যেতে হতো , এর সাথে আমবাড়ি রেল অফ গেটে আটকে পড়তে হতো ঘণ্টার পর ঘন্টা ফলে ভোগান্তি আরো বাড়ত সাধারণ মানুষের। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠেছিল। আর সেই কারণে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প গাজোলডোবা ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রের কথা ভেবে অবশেষে পূর্ত দপ্তরের তরফ থেকে পুনরায় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরনো সেতু ভাঙ্গাও শুরু করেছে। আপাতত যানবাহন চলাচলের জন্য হিমপাইপ বালির বস্তাদিয়ে অস্থায়ী সেতু বানিয়ে বালি ফেলে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তবে এই অস্থায়ী সেতু দিয়ে তিনটনের অধিক কোন গাড়ি চলাচল করতে পারবে না।
বাসিন্দারা বলেন এই সেতুটি অস্থায়ী হলেও যাতায়াত করতে অনেকটাই সুবিধা হবে। গাজলডোবা এ যেতে শিলিগুড়ি থেকে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে এই পাশ দিয়ে গেলে। তবে আমবাড়ি হয়ে গেলে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুর পথে যেতে হয়। তবে এই অস্থায়ী সেতু তৈরি করাতে আমরা খুব খুশি। অন্যদিকে এই বিষয়ে মান্তারদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা রায় বলেন রবিবার থেকে শুরু হয়েছে যাতায়াত এই ক্যানেল রোড দিয়ে।এতে অনেকটাই সুবিধা হবে। পুরনো সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর সহ পর্যটকদের।