অমিত রায় কামতাপুরী জনগোষ্ঠীর জাতির গাদ্দার, ও কেপিপির স্বঘোষিত সভাপতি!!Amit Roy is the traitor of the community of Kamtapuri, and the self-proclaimed president of KPP!!


অমিত রায় কামতাপুরি রাজবংশী জনগোষ্ঠীর গদ্দার। হ্যাঁ আজ এই ভাষাতেই কেপিপির (অমিত পন্থী) স্বঘোষিত সভাপতি অমিত রায়কে তুলোধোনা করলেন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির (অধীরপন্থী/সংখ্যাগরিষ্ঠ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়ে)সহ-সভাপতি তথা বর্ষিয়ান কেপিপি নেতা বুদারু রায়। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানান কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি ভাষা ও মাটি নিয়ে উত্তরবঙ্গকে আলদা রাজ্য করার জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করেই এই পার্টি স্বীকৃতি পায়, যে পার্টির সর্বজন স্বীকৃত সভাপতি ছিলেন স্বর্গীয় অতুল রায়। অমিত রায় জানে না কেপিপির মানে কি? আর কেপিপি দলের উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল আমাদের এই কেপিপি দল।এই দল কারো বাপের না। বুদারু বাবু আরো জানান ১৩ জন সদস্য নিয়ে কেপিপির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত, এর মধ্যে আটজনই অধীর রায়ের সমর্থনে রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন মেম্বার নিয়ে কিভাবে কেপিপির সভাপতি হয় অমিত রায়? তিনি নিজেকেই সভাপতি বললে তো আর সভাপতি হওয়া যায় না। অমিত একটাই দাবি করছে বারবার ,যে এটা আমার বাবার দল। কেপিপি দল টা কি ওর পৈতৃক সম্পত্তি!! দল কোনদিন কারো বাপের হয় না। যে মানুষগুলো কামতাপুরী আন্দোলন করতে গিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছে ,জেল খেটেছে , অমিত জানে না আমিও 18 মাস জেল খেটেছি এই দল করতে গিয়ে। এমনকি ৫৬ জন শহীদও হয়েছে। তাদের ইতিহাস অমিত রায় জানেনা, উত্তরবঙ্গের রাজবংশী কামতাপুরি মানুষদের ভাবাবেগ নিয়ে কিছুই জানেনা অমিত। রাজবংশী কামতাপুরী মানুষের কাছে গদ্দার রূপের পরিচয় দিয়েছে অমিত রায়। কামতাপুরী রাজবংশী মানুষের আবেগকের সাথে খেলা করে এই দলটাকে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে অমিত রায়।

এখানেই উটছে প্রশ্ন তাহলে অমিত রায় নিজেকে কিভাবে সভাপতি বলে দাবি করেন কেপিপির। ১৩ জন সদস্য নিয়ে যদি সেন্ট্রাল কমিটি গঠিত হয়, আর আটজন সদস্য যদি অধীর বাবুর সমর্থনে থাকে তাহলে পাঁচজন সদস্য নিয়ে কি কেপিপি দল গঠিত!! উঠছে না না প্রশ্ন??

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন